AssignmentEducationHSC

HSC 2022 Sociology 1st Paper Assignment Solution (11th Week)

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার এসাইনমেন্ট PDF। HSC Assignment 2022 11th week. ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ১১তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট মাউশির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য এগারো সপ্তাহের এসাইনমেন্ট PDF প্রকাশ করা হয়েছে । HSC (এইচএসসি) সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ১১তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২, Hsc Social Science 1st Paper Assignment Answers 11th Week 2022, সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র Hsc ১১তম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ২০২২, সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র Hsc (এইচএসসি) ১১তম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২.

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ গ্রামীণ ও শহর সমাজে পরিবারের পরিবর্তনশীল ভূমিকা

শিখনফল

  • পরিবারের ধারণা ও বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারবে
  • পরিবারের প্রকারভেদ ও কার্যাবলী ব্যাখ্যা করতে পারবে

নির্দেশনা

  • উদাহরণসহ পরিবারের ধারণা ও প্রকারভেদ যথাযথ ভাবে উপস্থাপন করতে হবে
  • পরিবারের বৈশিষ্ট্যাবলী উপস্থাপন করতে হবে
  • পরিবারের কার্যাবলী উপস্থাপন করতে হবে
  • পারিপার্শ্বিক জীবনের উদাহরণ সহ পরিবারের পরিবর্তনশীল ভূমিকা উপস্থাপন করতে হবে

উত্তর সমূহ

উদাহরণসহ পরিবারের ধারণা ও প্রকারভেদ যথাযথ ভাবে উপস্থাপন করতে হবে

উত্তর:

পরিবার: পরিবার হলো একটি প্রাচীনতম সংগঠন। পিতামাতা যৌন সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে এই সংগঠন গঠন করে, এবং সন্তান সন্তানাদি উৎপাদন ও লালন পালনের মাধ্যমে তার অস্তিত্ব ধরে রাখে।

সমাজবিজ্ঞানী ম্যাকাইভার মতে, যৌন সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে সন্তান-সন্ততির জন্মদান এবং লালন-পালনের উদ্দেশ্যে যে সংগঠন গড়ে ওঠে তাকে পরিবার বলে।
encyclopedia americana গ্রন্থে বলা হয়েছে, পরিবার পথটি সাধারণত কিছু ব্যক্তির সমষ্টিকে বোঝায়, যারা জন্ম এবং বিবাহসূত্রে একইক আবাসগৃহে বসবাস করে। সাধারণত দেখা যায়, পরিবার পথটি পূর্বপুরুষের ধারণা পর্যন্ত গ্রহণ করে।
পরিবারের প্রকারভেদ:  সামাজিক ও নৃবিজ্ঞানীরা যেসব উপাদানের ভিত্তিতে পরিবারকে শ্রেণীবদ্ধ করেছেন সেগুলো হলো:
১। বিবাহ ভিত্তিক পরিবার: বিবাহের ধরণ অনুযায়ী পরিবার তিন প্রকার। যথা:


(ক) একক বিবাহ ভিত্তিক পরিবার

(খ) বহুস্ত্রী বিবাহ ভিত্তিক পরিবার।(

গ) বহু স্বামী বিবাহ ভিত্তিক পরিবার।


 (ক) একক বিবাহ ভিত্তিক পরিবার: একক বিবাহ ভিত্তিক পরিবার এমন এক ধরণের পরিবার, যেখানে একজন পুরুষ একজন স্ত্রীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এবং তাদের সংসার কিংবা দাপত্য জীবনে তৃতীয় কোন নারী কিংবা পুরুষ অনুপস্হিত থাকে।


(খ)  বহু স্ত্রী বিবাহভিত্তিক পরিবার: যে পরিবারে একজন পুরুষ একাধিক নারী কে ঘর সংসার করার জন্য বিবাহ করে তাকে বহু বিবাহভিত্তিক পরিবার বলে।


আমাদের দেশে অঞ্চলভেদে বহুবিবাহ ভিত্তিক পরিবার হাতেগুনা কয়েকটি পাওয়া যেতে পারে। বহু বিবাহ ভিত্তিক পরিবার সাধারণত আদিবাসী, উপজাতিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। আফ্রিকা মহাদেশে বিভিন্ন উপজাতিদের মধ্যে এখনো বেশি মাত্রায় বহু বিবাহ প্রচলন আছে। মধ্যপ্রাচ্যে ধনী শেখদের বহু বিবাহ করা বিলাসিতা মনে করা হয়।ইসলাম ধর্মে শর্ত সাপেক্ষে বহু বিবাহ করা যায়েজ। রাষ্ট্রীয় আইনেও বহু বিবাহ স্বীকৃত, তবে আইনি কতগুলো শর্ত পূরণ করতে হয়।

(গ) বহু স্বামী বিবাহ ভিত্তিক পরিবার : যে পরিবারে একজন নারী একাধিক পুরুষকে বিবাহ করার স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে এবং একই সাথে সকলের সাথে বসবাস করতে পারে কিংবা পর্যায়ক্রমে তাদের সাথে আলাদা আলাদা থাকতে পারে তাকে বহুস্বামী বিবাহভিত্তিক পরিবার বলে।
এই ব্যবস্হা কিছু উপজাতি বা আদিবাসীদের মধ্যে প্রচলিত আছে। আমাদের দেশে, ধর্মে এবং সমাজে বহু স্বামী  বিবাহভিত্তিক পরিবার গঠন করা নিন্দনীয়।

২। বংশানুক্রম এর ভিত্তিতে পরিবার: বংশানুক্রমে ভিত্তিতে পরিবারকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
(ক) পিতা দিক থেকে বা পিতৃসূত্রীয় পরিবার।
(খ) মায়ের দিক থেকে বা মাতৃসসূত্রীয় পরিবার।
(গ) উভয়ের দিক থেকে বা উভয় সূত্রীয় পরিবার।
(ঘ) দ্বিমাত্রিক পরিবার।

(ক) পিতা দিক থেকে বা পিতৃসূত্রীয় পরিবার: পিতমসূত্রীয় পরিবারে পিতার দিক হতে ক্রমধারা অনুসারে বংশানুক্রমের ধারা ঠিক থাকে। এটি একটি বহুল প্রচলিত ব্যবস্হা। যা সমাজে বেশি প্রভাব বিস্তার করছে। এ ধরনের পরিবারের সদস্যরা পিতার পরিচয়ে বড় হন। যেখানে মাতৃ পরিচয় থাকে উহ্য। অধুনা উন্নত বিশ্বসহ আমাদের দেশে মাতৃসূত্রীয় কিংবা মাতৃ পরিচয় আইনগত স্বীকৃতি পেয়েছে।

(খ) মাত্র সূত্রীয় পরিবার: মাত্র সূত্রীয় পরিবারে মাতা পরিবারের একক কতৃত্ব লাভ করেন। যেখানে পরিবারের অন্য সদস্যরা মায়ের পরিচয়ে বড় হন। মাতার পরিচয় কে বংশানুক্রমিক মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এধরনের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তিগত অধিকার তার মায়ের সাথে সম্পর্কের উপর নির্ভর করে।

(গ) উভয় সূত্রীয় পরিবার: যখন একটি বংশের ধারা মাতার দিক হতে বিবেচনা করা হয়, কিন্তু পিতা অন্য বংশানুক্রম বিবেচিত হয়ে তার বংশানুক্রম ধারা ঠিক রাখেন তাকে উভসূত্রীয় পরিবার বলে।

(ঘ) দ্বিমাত্রিক পরিবার: যদি একজন ব্যক্তিকে মাতাপিতা উভয়ের বংশানুক্রমে ভিত্তিতে বিবেচনা করা হয় তাকে দ্বিমাত্রিক পরিবার বলে।

(৩) বাসস্থান ভিত্তিতে পরিবার: বাসস্থানের ভিত্তিতে পরিবারকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায় যথা :
(ক) পিতৃস্থানীয় পরিবার: যে পরিবার ব্যবস্হায় স্ত্রী তার স্বামীর বাড়িতে বসবাস করে তাকে পিতৃস্হানীয় পরিবার বলে।

(খ) মাতৃস্হানীয় পরিবার: যে পরিবার ব্যবস্হায় স্বামী তার স্ত্রীর গৃহে বসবাস করে তাকে মাতৃস্হানীয় পরিবার বলে। আঞ্চলিক ভাষায় তাকে “ঘর জামাই” বলা হয়।

(গ) দ্বৈত আবাসস্থল পরিবার: যখন স্বামী তার নিজ স্ত্রীর পিতামাতার বাড়ির নিকট কিংবা স্ত্রী তার নিজ স্বামীর পিতামাতার বাড়ির নিকট বসবাস করে তখন তাকে দ্বৈত আবাসস্হান পরিবার বলে।

(ঘ) এই ব্যবস্হায় স্বামী তার নিজ স্ত্রীর ভাইয়ের বাড়ির নিকট বসবাস করে।

(ঙ) নয়াবাস পরিবার: এটা এমন এক ধরণের পরিবার যেখানে নব দম্পতী তাদের জ্ঞাতিকুল থেকে দূরে বসবাস করে।

পরিবারের বৈশিষ্ট্যাবলী উপস্থাপন করতে হবে

উত্তর:

অধ্যাপক আর এম ম্যাকাইভারের সংজ্ঞা বিশে−ষণ করলে আমরা পরিবারের নিুলিখিত বৈশিষ্ট্য দেখতে পাই :

(ক) পরিবার একটি ক্ষুদ্র বর্গ− পরিবার একটি ক্ষুদ্র বর্গ। আত্মীয়তার ঘনিষ্ঠ বন্ধনের উপর পরিবার প্রতিষ্ঠিত বলে এর আকৃতি বড় হয় না।

(খ) জৈবিক সম্পর্ক− পরিবার যৌন সম্পর্ক ও বৈবাহিক বন্ধনের উপর প্রতিষ্ঠিত।

(গ) রক্ত ও আত্মীয়তার সম্পর্ক− রক্তের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের উপর পরিবার প্রতিষ্ঠিত।

(ঘ) নৈতিক মূল্যবোধ− স্নেহ, মায়া, ভালবাসা, ভক্তি, শ্রদ্ধাবোধ প্রভৃতি নৈতিক গুণাবলীর উপর পরিবার প্রতিষ্ঠিত।

(ঙ) বয়োজ্যেষ্ঠের প্রাধান্য− পরিবারে সাধারণত উপার্জনকারী একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির প্রাধান্য থাকে।

(চ) নামকরণ− পরিবার সাধারণত একটি নাম বা পদবী দ্বারা পরিচিত হয়। যেমন− কাজী, পাল, ঘোষ ইত্যাদি। কোন কোন ক্ষেত্রে এই নামকরণ ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

(ছ) সামাজিক একক− পরিবার সামাজিক একক এবং বহু পরিবারের সমন্বয়ে সমাজ গঠিত হয়।

(জ) শাশ্বত− পরিবার স্থায়ী ও চিরন্তন প্রতিষ্ঠান। অতীতে পরিবার ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

পরিবারের কার্যাবলী উপস্থাপন করতে হবে

উত্তর:

আপনি নিজ পরিবারের কাজের দিকে খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন পরিবারের কাজের গুরুত্ব কতখানি এবং পরিবার কি কাজ করে। পরিবার সাধারণত লিখিত কাজগুলো করে থাকে :

(১) জৈবিক কাজ− পরিবারের অন্যতম কাজ সন্তান-সন্ততির জন্মদান এবং লালন-পালন। এই কাজটি পরিবারের ভিত্তি। কেননা যৌনতা, নারী-পুরুষের একে অপরের প্রতি আকর্ষণ ও সন্তান-বাৎসল্যের কারণেই মানুষ পরিবার গঠন করে। অনেক উন্নত দেশে শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়া থেকে লালন-পালনের নানা দায়িত্ব শিশু-সদন বা শিশুমঙ্গল প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালগুলো পালন করে থাকে। তবে পরিবারের মধ্যে যে আদর-øেহ ও মায়া-মমতায় শিশু বিকশিত হয় তার বিকল্প কিছুই সৃষ্টি করা সম্ভব নয়।

(২) শিক্ষামূলক কাজ− পরিবারকে সমাজ জীবনের শাশ্বত বিদ্যালয় বলা হয়। শিশুরা প্রথম শিক্ষা, বর্ণ পরিচয় ও যোগ-বিয়োগ পরিবারেই শিখে। এমনকি বড় হয়ে স্কুলে যে শিক্ষা দেওয়া হয় তাও পরিবারের নিয়ন্ত্রণে পূর্ণতা পায়। যেমন− পরিবারে মাতাপিতার সাহায্য ও সহযোগিতায় স্কুলের শিক্ষার ভিত্তি মজবুত হয়। শুধু তাই নয়− শিশুরা ধর্মীয় শিক্ষা, আদব-কায়দা, শিষ্টাচার, বড়দের প্রতি সম্মান ও ছোটদেরকে ভালবাসার শিক্ষা পরিবার থেকে লাভ করে। তাই শিশুশিক্ষার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্ডেন প্রভৃতি থাকলেও নৈতিক মূল্যবোধ ও মানবতাবোধের শিক্ষা পরিবারের মত অন্য কোন প্রতিষ্ঠান দিতে পারে না।

(৩) অর্থনৈতিক কাজ− অতীতে পরিবারের মধ্যেই অর্থনৈতিক কার্যাবলী সম্পাদিত হত। শিকার, মৎস্য চাষ ও সংগ্রহ, কুটির শিল্প প্রভৃতি কাজ পরিবারের সদস্যরা সম্পাদন করে জীবন ধারণ করত। তখন তাদের চাহিদা কম ছিল বলে পরিবার সদস্যদের সকল চাহিদা পূরণ করতে পারত। কিন্তু বর্তমানকালে অর্থনৈতিক চাহিদা বৃদ্ধি ও আয়ের ক্ষেত্র সম্প্রসারণের ফলে পরিবারের সদস্যগণ অফিসআদালত, কলকারখানা ও নানাবিধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আয় করে থাকে। তবে আজকাল আবার পরিবারমুখী আয়ের পথ উন্মোচিত হয়েছে। হাঁস-মুরগী পালন, মাছ চাষ, ফল ও ফুলের বাগান তৈরি, বাঁশ ও কাঠের কাজ, সেলাই ও বুনন কাজ করে পরিবারের সদস্যগণ আয় বাড়িয়ে সুখ-শান্তি ও স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি করছেন। পরিবারের সদস্যগণের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে অর্জিত আয় পরিবারের মধ্যে খরচ করে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কাজ করে।

(৪) মনস্তাত্ত্বিক কাজ− স্নেহ, মায়া-মমতা, ভালবাসা ও আদর-যত্নে শিশুরা লালিত-পালিত হয়। পিতামাতার øেহে প্রতিপালিত শিশু সমাজে চলার পথে উদারতা, সহনশীলতা, দয়ামায়া প্রভৃতি মানবিক গুণাবলী দ্বারা পরিচালিত হয়। এর ফলে সুন্দর ও সুশৃংখল সমাজ গড়ে উঠে। পরিবারের এ কাজের কোন বিকল্প সৃষ্টি করা সম্ভব নয়।

(৫) নৈতিক কাজ− পরিবার তার সদস্যদেরকে নৈতিক শিক্ষা দান করে। সত্য কথা বলা, মিথ্যা না বলা, পরচর্চা না করা প্রভৃতি নৈতিক কথা ও কাজের শিক্ষা শিশুরা পরিবার থেকেই অর্জন করে।

(৬) ধর্মীয় কাজ− ধর্মীয় নিয়মাবলী ও ধর্ম পালনের শিক্ষা পরিবার থেকেই অর্জিত হয়। সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্য, নবী-রাসুল বা দেবদেবীর প্রতি ভক্তি শিশুরা মাতাপিতার নিকট থেকে অর্জন করে। যে পরিবারের মাতাপিতা ধার্মিক সেই পরিবারের সন্তান-সন্ততিরাও সাধারণত ধার্মিক হয়ে থাকে এবং বড় হয়ে ধর্ম পালন অব্যাহত রাখে।

(৭) অবকাশমূলক কাজ− পরিবার চিত্তবিনোদন বা অবকাশ ও মনোরঞ্জনমূলক কাজ করে থাকে। শিশুরা বাবা-মা এবং দাদা-দাদীর নিকট থেকে গল্প, কবিতা ও ছড়া শুনে আনন্দ লাভ করে। এক সময়ে পুঁথিপাঠ, রাজ-রাজরার গল্প-কাহিনী প্রভৃতির আসর জমিয়ে পরিবারের সদস্যরা আনন্দ লাভ করত। আজকাল সিনেমা, থিয়েটার, নাট্যমঞ্চ, ক্লাব, প্রভৃতি বিনোদনের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। তবুও বর্তমানকালে রেডিও, টেলিভিশন, টেপরেকর্ডার, ভি.সি.আর, পত্র-পত্রিকা প্রভৃতির মাধ্যমে পরিবারের সদস্যগণ পরিবারেই চিত্ত বিনোদনের কাজ করে থাকে।

(৮) সামাজিক কাজ− পরিবার সমাজ জীবনের অন্যতম একক এবং আদি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। সমাজবিজ্ঞানীগণ পরিবারের সম্প্রসারণকে সমাজের উৎপত্তির কারণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পরিবারের মাধ্যমে সামাজিক লেন-দেন, চাল-চলন, আচার-আচরণ ও সহযোগিতার শিক্ষা এবং বংশ মর্যাদা লাভ করা যায়। পারিবারিক জীবনের সংঘবদ্ধতা থেকেই মানুষ সমাজের গোষ্ঠীবদ্ধ জীবনের শিক্ষালাভ করে। তাছাড়া পরিবারের নৈতিক শিক্ষা সামাজিক মূল্যবোধ বিকাশে সহায়তা করে। পরিবার সামাজিকীকরণের ভূমিকা পালন করে সদস্যদেরকে সমাজে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলে।

(৯) রাজনৈতিক কাজ− পরিবার ক্ষুদ্র রাষ্ট্র বিশেষ। পরিবারে শাসক-শাসিতের সম্পর্ক বিরাজ করে। আনুগত্য ও নিয়মানুবর্তিতার প্রথম পাঠ আমরা পরিবারের মধ্যে লাভ করি। আদেশ দান ও আনুগত্যের শিক্ষা পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় জীবনে পরিব্যাপ্ত হয় এবং আদর্শ রাষ্ট্রের অনুকূল পরিবেশ রচিত হয়। তাছাড়া পরিবারের বিশেষ রাজনৈতিক আদর্শ ও চিন্তাধারা এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক রাজনৈতিক আলোচনা থেকে তাদের উপর রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রভাব বিস্তার করে। বিশেষ দলের প্রতি সমর্থনের ক্ষেত্রে পরিবারের রাজনৈতিক আদর্শ ও সমর্থনের প্রতিফলনও ঘটে। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে সহজেই অনুধাবন করা যায় যে, পরিবার অনেক কাজ করে থাকে এবং কোন কাজের গুরুত্ব কম নয়। একটি আদর্শ পরিবার একটি আদর্শ সমাজ গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

পারিপার্শ্বিক জীবনের উদাহরণ সহ পরিবারের পরিবর্তনশীল ভূমিকা উপস্থাপন করতে হবে

উত্তর:

গ্রামীণ পরিবারের বর্তমান অবস্থাঃ ১০ বর্তমানের গ্রামীণ পরিবারগুলাে আর আগের মত যৌথ পরিবারের আওতায় নেই। বেশিরভাগ পরিবার যৌথ পরিবার ভেঙ্গে একক পরিবার গঠন করেছে। সন্তানদের সংখ্যা এখন কম। আগের মত পরিবারগুলােতে পারস্পারিক ভালােবাসা দেখা যায় না। মাটির বাড়ি-ঘর সব ইটের ঘরে পরিণত হচ্ছে। ফলে গ্রামীণ পরিবার ক্রমশই শহুরে পরিবারের অবস্থা ধারণ করছে।

হুরে পরিবারের বর্তমান অবস্থাঃ বর্তমান শহুরে পরিবার আরও আধুনিক জীবন যাপন করছে। তারা এখন সর্বদা অর্থের পিছনে ছুটতে গিয়ে আপনজনদের সময় দিতে ভুলে যায়। তারা বাড়িতে থাকে কম, বাহিরে থাকে বেশি। সর্বদা আধুনিক জীবন যাপনে অভ্যস্থ হয়ে পড়ছে যেন বাংলাদেশে নয় আমেরিকায় বাস করছে।

পরিবারের পরিবর্তনশীল ভূমিকাঃ সময়ের পরিক্রমায় পরিবারের পরিবর্তনশীল ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়। যেমন: সন্তানদের শিক্ষিত করে তােলাঃ বর্তমান পরিবারের সবার একমাত্র লক্ষ্য সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তােলা এবং প্রতিষ্ঠিত হওয়া। যা পূরণে পরিবার সর্বদা তৎপর।

বাধা প্রদানঃ বাড়ির বাহিরে যেতে শিশুদের বাধা প্রদান করা হয়। মূলত তারা নিরাপত্তাজনিত কারণে এ কাজ করে থাকে যা শিশুর বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। নিজেকে সবার চেয়ে উপরে রাখতে হবে। আর তা পূরণে পরিবার এখন তাগাদা দেয়।

অধিক উপার্জনঃ সবাই এখন অর্থের পিছনে ছুটছে। বেশি বেশি। উপার্জন করতে হবে আর নিজেকে সবার চেয়ে উপরে রাখতে হবে। আর তা পূরণে পরিবার এখন তাগাদা দেয়।

অধিক ব্যস্ততাঃ পরিবার এখন ব্যস্ততার কারখানা। এখানে সবাই ব্যস্ত। কারও সাথে কথা বলার সময় নেই। ফলে এ বিষয়ে পরিবারের ভূমিকা নেই বললেই চলে।

বিনােদনের অভাব পূরণঃ বিনােদনের অভাব এখন সর্বত্রই। তার বর্তমান পরিবারে তা প্রখট। কেননা এখন সবাই ব্যস্ত। তাই পরিবারসমূহ ডিজিটাল উপায়ে তা পূরণে চেষ্টা করছে।

আধুনিকতা গ্রহণঃ সময়ের সাথে নিজেদের চলাতে পরিবার বর্তমানে ভূমিকা পালন করে। আধুনিক জীবন যাপনে পরিবার হতে কোন বাধা আসে না।

বিষ্যৎ ভাবনাঃ এখনকার পরিবারগুলাে ভবিষ্যত কিভাবে কাটবে সে বিষয়ে অনেক সচেতন। ফলে পরিবারগুলাে সে হিসেবে নিজ নিজ ভূমিকা পালন করছে।

বিশেষ সতর্কতা: উপরোক্ত নমুনা উত্তরগুলো দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হল, শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত বিষয়ের উপর ধারণা দেওয়া। ধারণা নেওয়ার পর অবশ্যই নিজের মত করে এসাইনমেন্ট লিখতে হবে। উল্লেখ্য যে, হুবহু লেখার কারণে আপনার উত্তর পত্রটি বাতিল হতে পারে। এ সংক্রান্ত কোন দায়ভার সারগো আইটি-এর নয়।

আমাদের কাজের মধ্যে কোন প্রকার ভুল ত্রুটি দেখা গেলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানান। প্রতি সপ্তাহের সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আমাদের কাছ থেকে ন্যূনতম সাহায্য পেয়ে থাকলে আপনাদের অন্যান্য বন্ধুদের সাথে ওয়েবসাইটটিকে ফেসবুকে শেয়ার দিতে পারেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button