AssignmentEducation

Class 10 Bangladesh and Global Studies Assignment Answer 2022 (2nd Week – 100% Accurate)

১০ম শ্রেণীর ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সমাধান ২০২২

১০ম (দশম) শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ | ২য় সপ্তাহ প্রিয় শিক্ষার্থী আপনি যদি ১০ম (দশম) শ্রেণির ২য় সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ সন্ধান করছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। Class 10 Bangladesh & Global Studies assignment answer 2022 2nd week.

১০ম শ্রেণি অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সকল বিষয়ের এসাইনমেন্ট প্রশ্নের উত্তর ও সমাধান। দশম (১০ম) শ্রেণী বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২। আপনাদের সবার জন্য দশম শ্রেণী বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সমাধান দেওয়া হয়েছে আজকের এই পোস্টে।

সবার সুবিধার্থে দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট এখানে দেওয়া হয়েছে। দশম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২০২২ সবার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই দশম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় উত্তর পাবেন আমাদের পোস্টে। যারা দশম শ্রেণীতে পড়েন তাদের জন্য ১০ম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সমাধান অনেক প্রয়োজনীয়।

১০ম শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে এইখানে দেখুন

বিভিন্ন সপ্তাহে ১০ম শ্রেণির বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ শিক্ষা অধিদপ্তর দ্বারা প্রকাশিত হচ্ছে । তাই সকল অ্যাসাইনমেন্ট একত্রে পাওয়া দুষ্কর। তাই সারগো এডুকেশন ষষ্ঠ শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে প্রকাশ করছে। আর তাই ১০ম শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে এইখানে দেখুন।

১০ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নের উত্তর ২০২২ (২য় সপ্তাহ)

প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্টসংখ্যক প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হবে। এবং অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হবে। তাই আপনাদের জন্য ১০ম শ্রেণীর দ্বিতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এখানে দেওয়া হয়েছে।

এসাইনমেন্ট শিরোনাম

বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো।

অ্যাসাইনমেন্ট/ শিরো নাম :  

নদী মাতৃক বাংলাদেশ ও আমাদের সম্পদ সমূহ

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  • নদ-নদীর উপর জনবসতির নির্ভরশীলতা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
  • যাতয়াত, জলবিদ্যুৎ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নদীপথের ভূমিকা বিশ্লেষণ করতে পারবে।
  • প্রাকৃতিক সম্পদের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে। 
  • বাংলাদেশের পানি ও খাদ্য নিরাপত্তায় পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে।

নির্দেশনা :  

  • নদ-নদীর উপরে জনবসতি নির্ভরশীল কেন তা ব্যাখ্যা করতে হবে।,
  • প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে তা ব্যাখ্যা করবে।, 
  • খাদ্য নিরাপত্তায় পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা উল্লেখ করবে।, 
  • প্রাকৃতিক সম্পদের একটি তালিকা প্রস্তুত করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রাকৃতিক সম্পদগুলাের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করবে।,

নদ-নদীর উপরে জনবসতি নির্ভরশীল কেন তা ব্যাখ্যা করতে হবে।

পৃথিবীর ইতিহাস খুঁজতে গেলে দেখা যায় প্রায় সকল বড় বড় মানবসভ্যতা গড়ে ওঠেছিল নদী তীরে। নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে নগর, বন্দর, শহর, গ্রাম, জেলেপাড়া, বাণিজ্যকেন্দ, প্রভৃতি। এই নদীকে ঘিরেই ছিল আদিকালের যাতাযাতের সকল ব্যবস্থা। জাহাজে, নৌকায় চড়ে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত মানুষ ঘুরে বেড়িয়েছে। কৃষি, মৎস্য, জেলেদের পেশা এবং সংস্কৃতির পাশাপাশি মানুষের নিত্যদিনের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সম্পদ সকল কিছুর একমাত্র উৎস ছিল নদী। নদী আজ দখল, দূষণ আর ভরাটের প্রতিযোগিতায় বিপন্ন; অনেকাংশে বিলুপ্ত।
নিকট অতীতেও নেত্রকোনা জেলায় জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো ৫৮টি ছোট বড় নদী। নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে এই এলাকার মানুষের জীবন, পেশা, কৃষি, ব্যবসা, খাদ্য-পুষ্টি। নদী ছিল এই এলাকার সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র। নদীই ছিলো মানুষের প্রাণ।

কত বাহারি নামের নদীই না ছিলো নেত্রকোনার ভুমিতে। ধনু, ধলাই, গুনাই, ঘোড়াউতরা, পিয়াইন, মগড়া, কংস, সাইডুলি, পাঠেশ্বরী, তুষাই, মহাদেও, গণেশ্বরী, নাগঢড়া, কালমগড়া, বিষনাই, ভোগাই কংস, উবদাখালী, মরাসুরমা, পিয়াং,পাটকুড়া,রাজরাজেশ্বরী, লাউয়ারি, কালিহর, সাপমারা, বেতাই, খারছা, চেন্নাই, হলোলিয়া, বন্নী, বয়রাহালা, বালই,চেলাই, গন্টবতী, বালিয়া, মঙ্গেশ্বরী,রাজাখালি,বৌলাই, বিষনাইল, ধনাইখালি, লারখালি, গোলামখালি, রাঙ্গাধাইর, কাউনাই, খরপাই, আতরখালি, দিংঘানা, চেল্লাখালি, দেওদিয়া, মারিসি, মলিজি, ভূগাই, নিতাই, খানিগাঙ, শলাখালি,সোয়াই, মাদল মরানদী, বালচ, প্রভৃতি। বর্তমানে ৭ থেকে ৮ টি নদী ছাড়া বাকী নদীগুলো বিপন্ন; কোন কোনটা বিলুপ্ত। মরাখালে পরিণত হয়েেেছ নদীগুলো। যে কারণে বর্তমান সময়ে এসে নদীর নামের শেষে খালি শব্দ যুক্ত হয়েছে।

নদীকে কেন্দ্র করে চলতো কৃষকের কৃষি কাজ। এ অঞ্চলের খাদ্য যোদ্ধারা বন্যা, খরা, বজ্রপাতসহ প্রতিকুল পরিবেশ, আফাল, পাহাড়ি ঢল, রোগবালাইয়ের সাথে যুদ্ধ করে ঘরে তুলতো খাদ্যসম্পদ। নদী থেকে পানি তুলে সেচ দিয়ে চলতো কৃষি কাজ। বর্তমানে নদী শুকিয়ে যাওয়ায় নেত্রকোনা অঞ্চলের কৃষিকেরা সেচের পানিরজন্য সম্পুর্ণভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে মাটির নীচের পানির উপর। অধিক ফলন ও খাদ্যনিরাপত্তার নামে বাহিরের প্রযুক্তির ব্যবহার করে তুলছে মাটির নীচের পানি।

নদী আমাদের অস্তিত্ত্বের অংশ। নদী আমাদের নান্দনিকতার উৎস। নদীর আত্মহনন বা হত্যা দিয়ে আমরা সভ্যতা ও সংস্কৃতির সচল ধারাকে অবলুপ্ত করতে চাই না। সভ্যতা প্রবহমান; সংস্কৃতি চলমান ধারায় পরিবর্তনের অগ্রদূত। নদী সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রধানতম ধারক ও বাহক। নদীকেন্দ্রিক জীবন প্রবাহের এ ধারাকে সজীব ও জীবন নির্ভর করতে হবে।

প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে তা ব্যাখ্যা করবে।

প্রকৃতিতে যেসব বস্তু স্বাভাবিকভাবে পাওয়া যায় তাকে প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। অন্যভাবে বলা যায় প্রকৃতির দানই হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ। মানুষের দৈনন্দিন অভাব পূরণে এদের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে রয়েছে – জমি, পানি, জলবায়ু, গাছ-পালা, পশু-পাখি, বিভিন্ন ধরনের খনিজ দ্রব্য ইত্যাদি।

প্রাকৃতিক সম্পদ হলো প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক উপাদান, যেগুলো মানুষের অভাব পূরণে সক্ষম। যেমন – ধান, সূর্যের আলো।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রাকৃতিক সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। ভূমি, বনভূমি, মৎস্য, খনিজ পদার্থ, সৌরতাপ, প্রাকৃতিক জলাশয় ইত্যাদি এ দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। দেশের অর্থনীতিতে এসব প্রাকৃতিক সম্পদকে যথাযথভাবে ব্যবহার করে দারিদ্র্য দূরীকরণ, খাদ্যনিরাপত্তা বিধান এবং উন্নত জীবনমান নিশ্চিত করা সম্ভব। বাংলাদেশের মাটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। অত্যন্ত উর্বর এই মাটিতে ফসল ফলাতে বেশি পুঁজির প্রয়োজন পড়ে না। মাটির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আমাদের কৃষিক ফসল, ফুল, ফল, শাকসবজিসহ বনজ সম্পদের প্রসার ঘটাতে পারি। স্বাধীনতার ৪০ বছরে তিন গুণ খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পেরেছে। উন্নত প্রযুক্তি, বীজ, চাষাবাদের নিয়মকানুন মেনে বাংলাদেশে এই মাটিতে আরও বেশি ফসল উৎপাদন করতে পারবে। তবে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি বাড়িঘর, কলকারখানা, পুল, রাস্তাঘাট, শহর-উপশহর নির্মাণে দেশের উর্বর ভূমি হ্রাস পাচ্ছে।

খাদ্য নিরাপত্তায় পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা উল্লেখ করবে।

পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা (Water Resources Management) ব্যবহারযোগ্য পানি আহরণ ও পানি থেকে সমাজের জন্য আবশ্যকীয় পণ্য ও সেবাসামগ্রী উৎপাদন ব্যবস্থা। এজন্য পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে আছে ভৌত-কাঠামো নির্মাণ, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ, এতদ্সংক্রান্ত আর্থিক ব্যবস্থাপনা, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা এবং আইন ও নানারকম বিধিবিধান।

বাংলাদেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা  প্রাকৃতিক কাঠামো এবং ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকার নির্মিত অবকাঠামোর বিভিন্ন অংশ বা উৎপাদন এবং ব্যবহারকারীদের জন্য এসবের লভ্যতা ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নিয়ে গঠিত। কৃষি বাংলাদেশের প্রধান অর্থনৈতিক খাত এবং পানি সম্পদের প্রধান ব্যবহারকারী। কৃষিখাত ছাড়া পানির আবাসিক ও বাণিজ্যিক ব্যবহারও ব্যাপক। নদী-নালা এবং পুকুর-বিল-হাওর ইত্যাদি, মৎস্য, বন ও নৌ-পরিবহণ ইত্যাদি খাত ছাড়াও পানি সম্পদ পরিবেশ দূষণ রোধ, লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও বিনোদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

পানি খাতের প্রকল্প ও কার্যক্রমসমূহ  বাংলাদেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রথাগত ধরন ছিল মূলত বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি নিষ্কাশন ও সেচের জন্য নানাবিধ কাঠামো নির্মাণ। সম্প্রতি বন্যা সতর্কীকরণ ও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখার উপায় সম্বলিত বিকল্প ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। পানি ব্যবস্থাপনায় যেসব কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয় সেগুলির মধ্যে আছে:

ক.  গ্রামীণ বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি নিষ্কাশন- দেশের অভ্যন্তরে এবং উপকূলীয় এলাকাসমূহে বাঁধ নির্মাণ ও পোল্ডার নিক্ষেপ; পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রক পয়েন্ট স্থাপন; নদী শাসন, নদীতীর প্রতিরক্ষা ও নদী খনন।

খ.   শহর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি নিষ্কাশন-  শহর রক্ষাবাঁধ; শহর এলাকা প্রতিরক্ষা স্থাপনা; রেগুলেটর, পাম্প ইত্যাদি।

গ.   ক্ষুদ্র সেচ- গভীর ও অগভীর নলকূপ; রাবার বাঁধ; খাল পুনঃখনন।

ঘ.   বৃহৎ সেচ- পাম্প; সেচখাল নেটওয়ার্ক; পানি নিষ্কাশন খাল নেটওয়ার্ক; ব্যারেজ ইত্যাদি।

ঙ.   বন্যা থেকে প্রতিরক্ষা- বাস্তভিটা উঁচুকরণ এবং আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ।

চ.   বন্যা সতর্কীকরণ- বন্যা/দুর্যোগ সম্পর্কে পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ, দূর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্ত্ততি এবং ব্যবস্থাপনা।

ছ.   পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন- ভুপৃষ্ঠের উপরিস্থ এবং ভূগর্ভস্থ উভয় প্রকার উৎস থেকে সংগৃহীত পানি পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ; পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা; টিউবওয়েলের সাহায্যে খাবার পানি সরবরাহ।

জ.  ড্রেজিং – নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি ও নৌচলাচল সুগমকরণ।

ঝ.  ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্ত্ততি- ভেড়িবাঁধ; ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রভৃতি নির্মাণ।

ঞ. পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন- বাঁধ নির্মাণ, আড়বাঁধ নির্মাণ, নদীশাসন; বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন ইত্যাদি।

জাতীয় পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা  পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো) ২০০১ সালে একটি খসড়া পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। প্রতি পাঁচ বছর পরপর পরিকল্পনাটি নবায়ন করার কথা। পরিকল্পনায় ৮৪টি কার্যক্রম চিহ্নিত করা হয় এবং সেগুলিকে ৮টি উপখাতে বিভক্ত ও ৮টি পরিকল্পনা এলাকার আওতাভুক্ত করা হয়। চিহ্নিত ৮টি উপখাত হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন, সহায়ক পরিবেশ বিনির্মাণ, প্রধান নদনদী, নগর ও পল্লী এলাকা, প্রধান প্রধান নগর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কৃষি ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, এবং পরিবেশ ও জলাশয়। ৮টি পরিকল্পনা এলাকা হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিম, উত্তর-পূর্ব, কেন্দ্রীয় উত্তর, উত্তর-পশ্চিম, কেন্দ্রীয় দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব, পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্যভূমি এবং নদী ও জলাশয় এলাকা। পরিকল্পনায় প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন, পরিবেশ বিনির্মাণ এবং পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

প্রাকৃতিক সম্পদের একটি তালিকা প্রস্তুত করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রাকৃতিক সম্পদগুলাের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করবে।

প্রাকৃতিক সম্পদ

  • জল
  • বাতাস
  • কয়লা
  • খনিজ তেল
  • প্রাকৃতিক গ্যাস
  • ফসফরাস
  • বন
  • অন্যান্য খনিজ (বক্সাইট)
  • লোহা
  • মাটি

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রাকৃতিক সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। ভূমি, বনভূমি, মৎস্য, খনিজ পদার্থ, সৌরতাপ, প্রাকৃতিক জলাশয় ইত্যাদি এ দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। দেশের অর্থনীতিতে এসব প্রাকৃতিক সম্পদকে যথাযথভাবে ব্যবহার করে দারিদ্র্য দূরীকরণ, খাদ্যনিরাপত্তা বিধান এবং উন্নত জীবনমান নিশ্চিত করা সম্ভব। বাংলাদেশের মাটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। অত্যন্ত উর্বর এই মাটিতে ফসল ফলাতে বেশি পুঁজির প্রয়োজন পড়ে না। মাটির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আমাদের কৃষিক ফসল, ফুল, ফল, শাকসবজিসহ বনজ সম্পদের প্রসার ঘটাতে পারি।

স্বাধীনতার ৪০ বছরে তিন গুণ খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পেরেছে। উন্নত প্রযুক্তি, বীজ, চাষাবাদের নিয়মকানুন মেনে বাংলাদেশে এই মাটিতে আরও বেশি ফসল উৎপাদন করতে পারবে। তবে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি বাড়িঘর, কলকারখানা, পুল, রাস্তাঘাট, শহর-উপশহর নির্মাণে দেশের উর্বর ভূমি হ্রাস পাচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে ভূমির ব্যবহার না করা হলে জাতীয় জীবনে বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। অর্থনীতিতে প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে পানির গুরুত্বও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

দেশের নদ-নদী, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়, পুকুর ইত্যাদির পানির ওপর কৃষি ও শিল্প অর্থনীতি সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল। যোগাযোগব্যবস্থাও পানিপথের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। দেশের খনিজ, বনজ, সৌরসহ সব প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার করে দেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়ার পথে অগ্রসর হচ্ছে। জাতীয় আয়ের সিংহভাগই আসে এসব সম্পদকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে। কাঁচামাল হিসেবে প্রাকৃতিক সম্পদের চাহিদা ও জোগান বাড়ছে, পণ্য উৎপাদনে প্রাকৃতিক সম্পদের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিশেষ সতর্কতা: উপরোক্ত নমুনা উত্তরগুলো দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হল, শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত বিষয়ের উপর ধারণা দেওয়া। ধারণা নেওয়ার পর অবশ্যই নিজের মত করে এসাইনমেন্ট লিখতে হবে। উল্লেখ্য যে, হুবহু লেখার কারণে আপনার উত্তর পত্রটি বাতিল হতে পারে। এ সংক্রান্ত কোন দায়ভার সারগো আইটি-এর নয়।

আমাদের কাজের মধ্যে কোন প্রকার ভুল ত্রুটি দেখা গেলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানান। প্রতি সপ্তাহের সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আমাদের কাছ থেকে ন্যূনতম সাহায্য পেয়ে থাকলে আপনাদের অন্যান্য বন্ধুদের সাথে ওয়েবসাইটটিকে ফেসবুকে শেয়ার দিতে পারেন।

১০ম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সমাধান সহ, দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট ২য় সপ্তাহ,
দশম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় সপ্তাহ, ১০ম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২,
দশম শ্রেণির এসাইনমেন্ট ২০২২, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২০২২

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button