AssignmentEducationHSC

2022 HSC Geography 1st Paper Assignment Solution (11th Week)

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার এসাইনমেন্ট PDF। HSC Assignment 2022 11th week. ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ১১তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট মাউশির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য এগারো সপ্তাহের এসাইনমেন্ট PDF প্রকাশ করা হয়েছে । HSC (এইচএসসি) ভূগোল ১ম পত্র ১১তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২, Hsc Geography 1st Paper Assignment Answers 11th Week 2022, ভূগোল ১ম পত্র Hsc ১১তম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ২০২২, ভূগোল ১ম পত্র Hsc (এইচএসসি) ১১তম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বাংলাদেশের ভূ-প্রাকৃতিক শ্রেণীবিভাজন

শিখনফল:

বাংলাদেশের ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারবে

নির্দেশনা:

ছক আকারে বাংলাদেশের ভূ-প্রাকৃতিক শ্রেণীবিভাগ

প্রদর্শিত শ্রেণীবিভাগ অনুযায়ী ভূপ্রকৃতির বর্ণনা


ছক আকারে বাংলাদেশের ভূ-প্রাকৃতিক শ্রেণীবিভাগ ও প্রদর্শিত শ্রেণীবিভাগ অনুযায়ী ভূপ্রকৃতির বর্ণনা

ভূ-প্রকৃতি ও বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম একটি বৃহৎ-ব দ্বীপ অঞ্চল। পদ্মা, যমুনা, ও মেঘনা নদী পশ্চিম, উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিক থেকে এদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে। ভূমির বন্ধুরতার পার্থক্য ও গঠনের সময়ানুক্রমিক দিক থেকে বাংলাদেশের ভূ প্রকৃতি কে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায় ।
১. টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ।
২, প্লাইস্টোসিনকালেরে সােপানসমূহ বা চত্বরভূমি ।
. সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।
নিম্নে এদের সংক্ষিপ্ত আলােচনা উপস্থাপন করা হলাে:

বাংলাদেশের ভূ প্রকৃতি

১. টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ

রাঙ্গামাটি বান্দারবান খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের পাহাড়ি এলাকাগুলাে নিয়ে এ অঞ্চল গঠিত। সম্ভবত টারশিয়ারি যুগে হিমালয় পবর্ত উথিত হওয়ার সময় মায়ানমারের দিক
থেকে আগত গারজান আলােড়নের ধাক্কার ভাজগ্রস্ত হয়ে এসব পর্বতের সৃষ্টি হয়েছে। তাই এদের টারশিয়ারি পাহাড় বলা হয়। সংক্ষেপে বলা যায় যে টারশিয়ারি যুগের হিমালয় পর্বত গঠনের সময় এসব পাহাড় সৃষ্টি হয়েছিল বলে এগুলােকে টারশিয়ারি পাহাড় বলে। আবার অঞ্চলকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা- ১. উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ ও ২. দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ। উত্তর ও উত্তর পূর্বোঞ্চলের বলতে বুঝায় ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার উত্তরাংশ সিলেট জেলার উত্তর ও উত্তর পূর্বাংশ এবং মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের দক্ষিণাংশের ছােট বড় বিচ্ছিন্ন পাহাড়গুলাে। দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ বলতে খাগড়াছড়ি রাঙ্গামাটি ও বান্দাবান জেলা এবং চট্টগামের অংশ বিশেষ এ অন্তর্গত
পাহাড় কে বুঝায়। এ পাহাড়গুলাের গড় উচ্চতা ৬১০ মিটার ।

২. প্লাইস্টোসিনকালের সােপানসমূহ

অনুমান করা হয় ২৫,০০০ বছর পূর্বে প্লাইস্টোসিনকালের আন্তবরফগলা পানিতে প্লাবনের সৃষ্টি হয়ে এসব চত্বরভূমি গতি হয়েছিল এর কয়েকটি অঞ্চল ছিল ।

(ক) বরেন্দ্র ভূমি

বরেন্দ্রভূমি রাজশাহী বিভাগের প্রায় ৯৩২০ বর্গ কিলােমিটার এলাকা জুড়ে আছে। প্লাবন সমভূমি থেকে এর উচ্চতা ৬ থেকে ১২ মিটার। গভীর খাত বিশিষ্ট আঁকাবাকা ছােট ছােট কয়েকটি সােতস্বিনী এ অঞ্চলে রয়েছে ।

(খ) মধুপুর ও ভাওয়াল গড়

উত্তরের ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে দক্ষিণে বুড়িগঙ্গা নদী পর্যন্ত অর্থাৎ ময়মনসিংহ টাঙ্গাইল ও গাজীপুর অঞ্চল জুড়ে এর বিস্তৃতি। এর মােট আয়তন ৪১০৩ বর্গ কিলােমিটার। মাটি কংকর মিশ্রিত ও লাল প্লাবন সমভূমি থেকে এর পূর্ব ও দক্ষিণে অংশের উচ্চতা ৬ মিটার কিন্তু পশ্চিম ও উত্তর দিকের উচ্চতা ৩০ মিটার। মধুপুর গড়ের অঞ্চলটি পাহাড়ের ক্ষয়িত অংশবিশেষ মধুপুর গড়কে অনেক বিশেষজ্ঞ নদী সােপান “আবার কেউ কেউ একে উথিত বা ব-দ্বীপ ও বলেন বরেন্দ্রভূমির মতাে তখনকার রঙ দেখতে লাল এবং বসবাসসহ বলে কৃষি কাজের উপযােগী নয়।

(গ) লাল মাই পাহাড়

কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কি. মি দক্ষিণে লালর মাই থেকে ময়নামতি পর্যন্ত এটি বিস্তৃত। এর আয়তন প্রায় ৩৪ বর্গ কিলােমিটার এবং গড় উচ্চতা ২১ মিটার। এর মাটি লালচে মুড়ি এবং বালি কংকর দ্বারা গঠিত।
৩, সাম্প্রতিক কালের প্লাবন সমভূমি ৪ টারশিয়ারী যুগের পাহাড়সমূহ এবং প্লাইস্টোসিন কালের সােপানসমূহ ছাড়া সমগ্র বাংলাদেশ নদীবিধীত এক বিস্তীর্ণ সমভূমি অসংখ্য ছােট বড় নদী বাংলাদেশের সর্বত্র জালের মতাে ছড়িয়ে আছে সমতল ভূমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত বলে এ নদীগুলাে বন্যার সৃষ্টি করে দেশের অধিকাংশ অঞ্চল তখন জলমগ্ন হয়। বছরের পর বছর এভাবে বন্যার সাথে পরিবাহিত পলিমাটি সঞ্চিত হয়ে পলল সমভূমি গঠিত হয়। এর আয়তন প্রায় ১.২৪.২৬৬ বর্গ কিলােমিটার। বাংলাদেশের উত্তরাংশ থেকে সাগর উপকূলের দিকে সমভূমির ঢাল ক্ৰমনিম্ন। সুন্দরবন প্রায় সমুদ্র সমতলে অবস্থিত। কিন্তু সমুদ্র সমতল থেকে দিনাজপুরের উচ্চতা ৩৭.৫০ মিটার। বগুড়ার উচ্চতা ২০ মিটার। ময়মনসিংহের উচ্চতা ১৮ মিটার। সমভূমির স্থানে স্থানে বহু নিম্নভূমি বা জলাশয় দেখতে পাওয়া যায়। সমভূমির পরিত্যক্ত অশ্বক্ষুরাকৃতি নদীখাল বা ভূ-পৃষ্টের অবনমনের জন্য সৃষ্টি হয়েছে।
আরএ অঞ্চলটি কয়েকটি ভাগে বিভক্ত-

৩। নবীন বা সম্প্রতিকালের প্লাবন সমভূমি

কুমিল্লার সমভূমি

চাঁদপুর কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অধিকাংশ এবং লক্ষ্মীপুর, নােয়াখালী, ফেনী হবিগঞ্জ জেলার কিছু অংশ এ সমভূমি অবস্থিত। (খ) সিলেট অববাহিকা ও সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার অধিকাংশ এবং কিশােরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার পূর্বদিকের সামান্য অংশ নিয়ে এ অঞ্চল গঠিত।

পাদদেশীয় পলল সমভূমি

দেশের উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত বৃহত্তম রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অধিকাংশ স্থানজুড়ে এ সমভূমি বিস্তৃত।

গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা প্লাবন সমভূমি

এটিই বাংলাদেশের মূল প্লাবন সমভূমি নামে পরিচিত এ প্লাবন সমভূমি বৃহত্তম ঢাকা, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, পাবনা ও রাজশাহী অংশ বিশেষ নিয়ে বিস্তৃত।

ব-দ্বীপ অঞ্চলীয় সমভূমি

বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমের সমভূমিকে সাধারণতর ব-দ্বীপ বলা হয়। এ ব-দ্বীপ অঞ্চলটি বৃহত্তর কুষ্টিয়া, যশাের ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী অঞ্চলের সমুদয় অংশ এবং রাজশাহী, পাবনা ও ঢাকা অঞ্চলের কিছু অংশ জুড়ে বিস্তৃত। তাছাড়া ব-দ্বীপ অঞ্চলের সমভূমি আবার চার ভাগে বিভক্ত। যথা- ১. সক্রিয় ব-খীপ, ২, মৃতপ্রায় ব-দ্বীপ, ৩, স্রোত সমভূমি এবং ৪, চট্টগ্রামের উপকূলী সমভূমি।

পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশ এমন একটি ভূ-খণ্ড যার প্রত্যেকটি কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত হয় ভূ-প্রকৃতির দ্বারা। আর অবস্থান ভেদে বাংলাদেশের ভূ প্রকৃতি কে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। এগুলাের প্র.এটির রয়েছে আলাদা সাতগ্রক বৈশিষ্ট্য। এর ফলে কোনাে অঞ্চল উঁচু আবার কোনাে অঞ্চল নিচু। কোথাও কৃষি পণ্য উৎপাদন বেশি হয় আবার কোথাও কৃষি পণ্য উৎপাদন হয় অনেক কম। ভূ-প্রকৃতির কারণে কোনাে অঞ্চলের মানুষ হয় অপরাধ প্রবণ আবার এর কারণে কোনাে অঞ্চলের মানুষ হয় নিষ্ঠাবান।

বাংলাদেশের ভূমির ঢাল

সমতল থেকে কিছুটা উঁচু চত্বরভূমিটিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।

১. পূর্ব দিকের লালমাই টিলা এলাকা: 

লালমাই টিলা এলাকা কুমিল্লা শহরের পশ্চিম পার্শ্বে উত্তর-দক্ষিণে লম্বায় ১৫ কি.মি. এবং চওড়ায় ১ থেকে ৩ কি.মি.। এ টিলা সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে সর্বোচ্চ ৪৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত, যা পশ্চিম পার্শ্বে কিছুটা খাড়া।

২. মধ্যভাগের  মধুপুর গড়:  

মধুপুর গড় এলাকা বৃহত্তর ঢাকা, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলার প্রায় ৪১৩০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে গড়ে ৮ হতে ১৫ মিটার উঁচু এবং সর্বোচ্চ উচ্চতা ৩০ মিটার। এ চত্বরভূমি পূর্বদিকে কিছুটা ঢালু এবং পশ্চিম পার্শ্বে চ্যুতি নিয়ন্ত্রিত।

৩. পশ্চিম দিকের বরেন্দ্রভূমি: 

বৃহত্তর রাজশাহী, রংপুর, বগুড়া ও দিনাজপুর জেলার প্রায় ৯৩২০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এ চত্বরভূমি রাজশাহী এলাকায় ৩০ হতে ৪০ মিটার উঁচু এবং অন্যান্য এলাকায় ২০ হতে ৩৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এ চত্বরভূমি পশ্চিমপার্শ্বে চ্যুতি নিয়ন্ত্রিত। নিচু জলাভূমির মধ্যে সুনামগঞ্জের মাটিয়ান হাওড়, মৌলভীবাজারের হাউল হাওড়, বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার চান্দা-বাঘিয়া বিল, খুলনার কোলামৌজা ও তেরখাদা বিল এলাকা এবং বৃহত্তর পাবনা-রাজশাহী এলাকার চলন বিল উল্লেখযোগ্য। গরান জলাভূমির মধ্যে রয়েছে বৃহত্তর বরিশাল, পটুয়াখালী ও বৃহত্তর খুলনা জেলার সুন্দরবন এলাকা এবং চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালি-চকোরিয়া গরান জলাভূমি।

বিশেষ সতর্কতা: উপরোক্ত নমুনা উত্তরগুলো দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হল, শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত বিষয়ের উপর ধারণা দেওয়া। ধারণা নেওয়ার পর অবশ্যই নিজের মত করে এসাইনমেন্ট লিখতে হবে। উল্লেখ্য যে, হুবহু লেখার কারণে আপনার উত্তর পত্রটি বাতিল হতে পারে। এ সংক্রান্ত কোন দায়ভার সারগো আইটি-এর নয়।

আমাদের কাজের মধ্যে কোন প্রকার ভুল ত্রুটি দেখা গেলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানান। প্রতি সপ্তাহের সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আমাদের কাছ থেকে ন্যূনতম সাহায্য পেয়ে থাকলে আপনাদের অন্যান্য বন্ধুদের সাথে ওয়েবসাইটটিকে ফেসবুকে শেয়ার দিতে পারেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button